“বার বার ব্যার্থতা আর হতাশায় মুখ থুবড়ে পড়া মানুষটা .... যাকে চরম দুঃসময়ে তার সবচেয়ে কাছের আর ভরসার মানুষটাও ছেড়ে গিয়েছিল চরম অবহেলায় ......... একদিন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ায় .... প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস আর ভয়াবহ একটা পৈশাচিক হাসি মুখে নিয়ে সে ঘুরে দাঁড়ায় সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ....... সে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়, ‘আর না, অনেক হয়েছে’ ..... মানুষটা বুঝতে পারে, অনুভব করতে পারে ..... এতদিন একা একা ‘দুঃসময়’ নামক হিংস্র পশুটার সাথে লড়াই করতে করতে তার শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে গেছে ....... বার বার আশা নিয়ে কাছের মানুষগুলোর কাছে গিয়ে বিশ্রীভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রচন্ড ইমোশনাল আর অভিমানী মানুষটা ততদিনে শিখে গেছে কি করে কারও হাত না ধরে ‘একাকীত্ব’ নামের বিশাল নদীটা পার হতে হয়.... সে তখন হাসতে হাসতে কাঁচের টুকরো ভরা নোংরা, পূতিগন্ধময় রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে, যার শেষ মাথায় আছে ‘সাফল্য’..... সে যখন প্রায় পৌঁছে যায়, তখন কয়েকটা হাত তার দিকে বাড়িয়ে দেয়া হয়.... খুব স্নেহ আর যত্ন ভরা হাত.... কিন্ত সে মানুষটা তখন সেই হাতগুলোকে তাচ্ছিল্যভরে এড়িয়ে যায়..... এই হাতগুলো তার বড্ড চেনা... অসময়ে ছেড়ে চলে যাওয়া এই হাতগুলো এখন তার আর প্রয়োজন নেই...... জীবন সাজানোর ব্যস্ততা আর আনন্দে ভরা এই সময়টা তার নিজের.... একার.... সম্পূর্ন একার.....”